Don't Miss
Home / জাতীয় / চলতি বছরের ফিতরার হার নির্ধারণ করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

চলতি বছরের ফিতরার হার নির্ধারণ করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।
মনোলোক ডেস্ক: হিজরি ১৪৪৪ সনের হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এর আগে, গত বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতে হয়।পৃথিবীতে এমন একটি সহিহ হাদিস নেই যেখানে রাসুল্লাহ(সা) বলেছেন টাকা দিয়ে ফেতরা দিতে। কেউ যদি খাদ্যদ্রব্য ছাড়া টাকা দিয়ে ফেতরা দেয়,তাহলে তার ফেতরা তো আদায় হবেই না বরং সে বেদাত করার কারনে কঠিন গুনাহগার হবে।ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ফেতরার টাকা নির্ধারণ করে দেয় যা সরাসরি রাসুল্লাহ(সা) এর নির্দেশের বিরুদ্বে।কারন রাসুল্লাহ(সা) বলেছেন খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফেতরা দিতে।শুধুমাত্র সহিহ বুখারিতেই টানা ১০ টি সহিহ হাদিস আছে যেখানে রাসুল্লাহ (সা) খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফেতরা দিতে বলেছেন।উমর(রা) থেকে বর্নিত,, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রাসুল(সা) সদকাতুল ফেতরা হিসেবে খাদ্যদ্রব্য অথবা খেজুর অথবা যব অথবা কিসমিস অথবা পনির এক ‘সা (প্রায় তিন কেজি) পরিমান আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতে বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন(সহিহ বুখারি: ১৫০৩-১৫১২উপরোক্ত হাদিসে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে রাসুল্লাহ(সা) খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফেতরা আদায় করা ফরয করে দিয়েছেন। তাহলে কেন আমরা এলেমহিন জুব্বাওয়ালাদের কথা শুনে টাকা দিয়ে ফেতরা আদায়ের মাধ্যমে রাসুল্লাহ(সা) এর বিরুদ্বে যাব???সুতারং টাকা দিয়ে ফেতরা আদায় বন্ধ করুন,খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফেতরা দিয়ে রাসুল্লাহ(সা) এর নির্দেশ পালন করুন এবং আপনার ফেতরা আদায় নিশ্চিত করুন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Recent Comments

No comments to show.
x

Check Also

শুন্য পদে উপ-নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত ফোর্সদের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত।

গাইবান্ধা প্রতিনি  ঃ – গাইবান্ধা পৌরসভা ২নং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ৯নং খোলাহাটি ...