Don't Miss
Home / Uncategorized / হোটেল মালিক সুরুজের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ (পর্ব-১)

হোটেল মালিক সুরুজের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ (পর্ব-১)

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :- রাজধানীর মিরপুরের রয়েল আবাসিক হোটেলের মালিক অস্ত্র-চাঁদাবাজীসহ একাধীক মামলার আসামী সুরুজের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে মিরপুর মডেল থানায় ফেনসিডিল মামলা, শাহ আলী ও দারুস সালাম থানায় চাঁদাবাজী, মানবপাচার, মাদকসহ একাধীক মামলায় আসামী সুরুজের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। থানা-পুলিশকে মোটা অঙ্কের মাশোয়ারা দিয়েই সুরুজ তার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে এই বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। তার দুটি বিলাসবহুল ফ্লাট রয়েছে উত্তর বিশিলের ক ব্লকের ১০ নং রোডের ৪র্থ তলার সামনের সাইডে। এ ফ্লাট দুটি ১৪০০+১৪০০ = ২৮০০ স্কয়ার ফিটের। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। তাছারাও কাউন্দিয়ায় তিন সিটে ২৯ কাঠা জমি ক্রয় করেন, যার মালিক সুরুজ নিজে। পশ্চিম কাউন্দিয়ায় ৫ কাঠা জমির উপর একটি ভবন তার মালিকও সুরুজ নিজে। বাগদাদ আবাসিক হোটেলেরও এক তৃতীয়াংশের মালিক সুরুজ। মিরপুর ১ সিটি ব্যাংক শাখায় জমা রাখা আছে প্রায় ২ কোটি টাকা। তার স্ত্রীর নামে এফডিআর করা সিটি ব্যাংকের শাখায় ৭৫ লক্ষ টাকা। তার মেয়ের নামে মিরপুর-১ ব্যাংক এশিয়া শাখায় ৫৫ লক্ষ টাকা এফ ডি আর করা এবং মিরপুর ১ কাচাবাজারে ৫টি বিটও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। যা বিভিন্নজনের কাছে ভাড়া দেওয়া আছে। এ থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ভাড়া তোলেন। অথচ, এক সময় ফুটপাতে ঝুড়িতে করে কাচামরিচ বিক্রি করতেন এই সুরুজ। হঠাৎ কি করে এতো সম্পদের মালিক হলেন তার অনুসন্ধান করতে গিয়ে অনুসন্ধানে মেলে তার বিভিন্ন অবৈধ উপার্জনের তথ্য। তার রয়্যাল আবাসিক হোটেলের ছয় তলায় চলে রমরমা নারী ব্যবসা। প্রতিদিন তার হোটেলে বিভিন্ন বয়সী দেহ ব্যবসায়ীদের আনাগোনা দেখা যায়। এই রয়্যাল হোটেলটির ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, জেলা প্রশাশকের বিজনেস লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স এবং ভ্যাট নিবন্ধের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। এ বিষয়ে পূর্বে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সুরুজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না দিয়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়।
রয়েল আবাসিক হোটেলের আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয়রা জানান, এই হোটেলে চলে রমরমা নারী ব্যবসা। এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সাথে সুরুজ জড়িত আছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সুরুজের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌংজংয়ে। এ বিষয়ে সুরুজের কাছে জানতে চাইলে সুরুজ জানান মাজার রোডে কোনো প্রতিষ্ঠানে ট্রেডলাইন্সেস দেয় না বিধায় আমার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স করা হয়নি। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বারবার দেখা করার তাগিদ দিয়ে একপর্যায়ে প্রতিবেদকের সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে অভিযোগ অস্বিকার করে ফোন রেখে দেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে…

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Recent Comments

No comments to show.
x

Check Also

হলে ছবি দেখলে প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে দর্শকদের একপ্যাকেট করে বিরিয়ানি ফ্রি

বরগুনা প্রতিনিধি ঃ – হলে ছবি দেখলে একপ্যাকেট বিরিয়ানি ফ্রি। হলে ছবি ...