গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ – গাইবান্ধা জেলার সদর আসন দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আসন থাকলেও গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ ।জাতীয় পার্টির প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতা শাহ সারোয়ার কবির এমপি নির্বচিত হন। শাহ সারোয়ার কবির এমপি নির্বাচিত হয়েই গাইবান্ধা জেলা শহরে আইনশৃঙ্খলার যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে। রাতের আধারে গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পূরাতন জর্জ কোটের জায়গা দখল করে নেয় তার নিকটআত্নীয় সহ কাছের লোকজন, যা গাইবান্ধাবাসী কোন দিন ভাবতেই পারেনি যে রাতের অন্ধকারে এভাবে সরকারি জায়গা দখল হবে। পূর্ব প্রকাশিত পত্রিকায় বর্তমান এমপি সাহেবের নিকট জন মাদক সম্রাট খ্যাত তালিকা ভুক্ত রয়েছেন তার সুপষ্ট প্রমান তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, একাধিক রাজনৈতিক আলোচনার মঞ্চে সম্মানিত এমপি বলেন দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পীকার এর রক্ত তার দেহে প্রবাহিত হচ্ছে। এহেন পরিস্হিতিতে, এম,পি শাহ সারোয়ার এর ক্ষমতার প্রভাবে তার নেতৃত্বাধীন সকলেই হয়ে উঠে বেপরোয়া।
ক্ষমতার অপব্যাবহার, মাদক বানিজ্য, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রকাশ্যে অহরহ কোনভাবেই আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না, কেননা দলীয় আধিপত্য বিস্তার এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এম,পির এর কাছে। স্কুলবও কলেজ গুলোতে স্বাভাবিক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রভাব বিস্তার করে বন্ধ রেখেছে।
ফলশ্রুতিতে, গাইবান্ধা সদরে জনগনের মনের আতংক বিরাজ করছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়।
দুঃখের সহিত বলতে হচ্ছে এম,পি শাহ সারোয়ার কবির অভিনব কায়দায় সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রান পন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেননা, কতিপয় তার অনুসারি ২/৩ জন সাংবাদিক ব্যাতিত সকল গনমাধ্যম তার কাছে অবহেলিত লাঞ্ছিত। মহান পেশায় নিয়োজিত থাকা অধিকাংশ সাংবাদিকদের দাবী তাঁদের অভিভাবক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সম্মানিত চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল ইসলাম এর কাছে এম,পি কর্তৃক সাংবাদিক বাধাগ্রস্ত যেন না হতে পারে এটার নিশ্চয়তার বাস্তবায়ন।